 
                 
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ চলছে বিশ্বজুড়ে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা ও বর্বরতার কারণে বহিবিশ্বের মানবিক চাপের বহিঃপ্রকাশ পাচ্ছে। এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা গাজায় অসহনীয় মানবিক বিপর্যয়ে ইসরাইলের নিন্দা জানিয়েছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় জোট দ্য হেকগ্রুপ গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। চলতি সপ্তাহে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় বৈঠক করে দ্য হেকগ্রুপ । পরে আরো ১২টি দেশ ইজরায়েলের অন্যায় কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণের জন্য ছয়টি পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়। এর আগে স্লোভিনিয়া ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মন্ত্রী ইতামার বেনগভীর ও চরমপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালালকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের ভুখন্ডে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেয়। এছাড়া কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্য এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সহিংসিকতায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত মে মাসে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা একই সাথে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ইসরাইলের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অমানবিক বলে আখ্যায়িত করে। তুরস্ক ও জানিয়েছে গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরাইলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রাখবে।
সম্প্রতি গাজায় ক্যাথলিক চার্জে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এই হামলার হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানায় পোপ চতুর্দশ লিও।গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা ও অবৈধ শক্তি প্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানান পোপ। যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলের ভেতরেও চলছে নানা সমালোচনা। গত বৃহস্পতিবার গাজা শহরের হোলি ফ্যামিলি গির্জায় ইসরাইলের বোমা হামলায় তিনজন নিহত হয় । এ নিয়েও নিন্দা জানিয়েছে ইজরাইলি ইহুদিরা। ইসরাইলি বর্বরতা ও হামলায় ফিলিস্থানে এখনো পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তানি প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেলেও সংখ্যাটা আরো অনেক বেশী। যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক জনমত ইসরাইলের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে।

 
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                            