
সবুজ অরণ্য।
চট্টগ্রাম অফিস :-
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ ও শিক্ষা সচিবকে প্রত্যাহারসহ নানা দাবিতে শিক্ষা বোর্ড ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে সাধারণ পথচারীদের পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় এ বিক্ষোভ। এসময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ ‘জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে নগরীর অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ষোলশহর দুই নাম্বার গেইট থেকে মুরাদপুর বহদ্দারহাটগামী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ শিক্ষা বোর্ডের সামনে সড়কে বাঁশ ফেলে সড়ক অবরোধের পাশাপাশি সেখানে অবস্থান নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ শিক্ষা বোর্ডের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। কয়েক শ শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। অনেকের হাতে বাংলাদেশের পতাকা দেখা গেছে। মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীরা দু-একটি যান চলাচলের জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ন্যায়বিচার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবিতে তারা আজ আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, ঢাকায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের মানসিক অবস্থার বিষয়টি তোয়াক্কা না করে আজকের পূর্ব নির্ধারিত এইচএসসি পরীক্ষা পেছাতে গড়িমসি করা হয়। শিক্ষার্থীদের সারাদিন অপেক্ষা করিয়ে রাত ৩টায় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার নেছার উদ্দীন আহমেদ
গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘মুরাদপুর সড়কটির বিকল্প কোনো সড়ক নেই। সড়কটি দিয়ে মূল শহর, কক্সবাজার, বান্দরবানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যানবাহন চলাচল করে। এই সড়ক অবরোধের ফলে পুরো শহরে যানবাহন চলাচল সিস্টেম ভেঙে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। মাইলস্টোনের ঘটনাটি একটা আবেগের বিষয়। আমি নিজেও ঘটনাটির পরে ভালোভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না। বাচ্চাদের ছবিগুলো চোখে ভেসে উঠছে।’