আগস্ট ১৩, ২০২৫
00

Loading

মানবদেহের ওজন বহনকারী যেকটি অস্থিসন্ধি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁটু। এই হাঁটুর ব্যথা প্রধানত বয়স্ক ব্যক্তিদের বেশি হয়ে থাকে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা বয়স্ক থেকে শুরু করে তরুণদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

নানা কারণে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। যেমন-

০১। অস্টিওআর্থ্রাইটিস

০২। হাঁটুর জয়েন্টের ক্ষয়জনিত সমস্যা।

০৩। আঘাত

০৪। লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া বা হাঁটুর জয়েন্টে আঘাত।

০৫। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস

০৬। অটোইমিউন রোগ যা হাঁটুর জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি করে।

০৭। ওজনাধিক্য হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।

০৮। মাংসপেশির দুর্বলতা হাঁটুর আশেপাশের পেশি শক্তিশালী না হলে সমস্যা দেখা দেয়।

 

চিকিৎসা ও করণীয়

বিশ্রাম নিন : প্রাথমিক করণীয় হিসেবে হাঁটুর ওপর চাপ কমান, এজন্য বিশ্রাম নিন।

বরফ দিন : হাঁটুতে ১০-১৫ মিনিট বরফের প্যাক ব্যবহার করুন দিনে ৩-৪ বার।
চাপ : হাঁটুর সাপোর্ট ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।
পা উঁচু রাখা : হাঁটু উঁচু করে রাখুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

ফিজিওথেরাপি

হাঁটুর ব্যথা উপশমের জন্য বিশেষ ব্যায়াম এবং কিছু থেরাপি কার্যকর।এজন্য ফিজিওথেরাপিস্টেরও পরামর্শ নিন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আপনার ওজনাধিক্য থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। চর্বি ও চিনি জাতীয় খাবার কম খান।

বিশেষ ধরনের সাপোর্ট ও জুতা

হাঁটুর জন্য সাপোর্টিং ব্রেস ব্যবহার করুন। নরম এবং আরামদায়ক জুতা পরিধান করুন।

ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং

পেশির শক্তি বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা মৃদু স্ট্রেচিং ব্যায়াম এবং হাঁটুর হালকা ব্যায়ামগুলো করুন।

ওষুধ ও ব্যথানাশক

হাঁটুর ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। খুব বেশি ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক সেবন করা যেতে পারে। এ ছাড়াও তিনি কার্টিলেজ রক্ষাকারী ওষুধ (যেমন: গ্লুকোসামিন) দিতে পারেন। গুরুতর ক্ষেত্রে জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বা লিগামেন্ট রিপেয়ার সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

হাঁটুর ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

* হাঁটু জয়েন্টগুলোতে চাপ কমাতে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
* দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন।
* প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন।
* সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও হাঁটার অভ্যাস করুন।
* পুষ্টিকর খাবার (যেমন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি) গ্রহণ করুন।
* পর্যাপ্ত পানি পান করুন।


অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন
(স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত চিকিৎসক)
অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান, ল্যাবএইড হাসপাতাল লিমিটেড,ধানমন্ডি, ঢাকা। হটলাইন : ০১৭৮০-২৫০-৭৮০,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »